পর্ব -নিডারিয়া( Cnidaria) ও প্লাটিহেলমিনথিস (Platyhelminthes) এবং এদের বৈশিষ্ট 

 


পর্ব -০২: নিডারিয়া


: Cnidaria পর্বভুক্ত প্রাণীরা একদিকে অবীয় প্রতিসম, অন্যদিকে কোষ-টিস্যু মাত্রার (cell-tissue বাদিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণী। আপিলের মুক্ত পাতার দল সীতাকে বামুদ্র উপকূলে পড়ে থাকা giade) থকে জেলির মতো প্রাণিগুলো জেলিফিশ Cidaria পর্বেরই মুক্ত সাঁতার সদস্য। বিচিত্র বর্ণময়তার কারণে এ পর্বের গোল বা সমুদ্রকে বর্ণিল রূপদানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে। প্রবাল ও প্রবাল প্রাচীর গঠনকারী প্রাণীরা এ পর্বেরই সদস্য। সদস্য নিডেরিয়ান প্রাণিদের সমুদ্রের ফুল (flower of the sea) বলা হয়। পৃথিবীর প্রবাল প্রাচীরগুলোতে বাস করে সামুদ্রিক প্রজাতির ২৫% জীব। প্রবাল প্রাচীর তাই পৃথিবীর অন্যতম রত্নভান্ডার হিসেবে পরিচিত এবং সমুদ্রের Rain Forest নামে অভিহিত


পর্ব Cnidaria-র বৈশিষ্ট্য

১. এরা কোষ-টিস্যু মাত্রার (cell-tissue grade) গাঠনিক বৈশিষ্টসম্পন্ন ও অরীয় প্রতিসম প্রাণি। 

২. স্তরটি এপিডার্মিস এবং ভেতরের স্তর এন্ডোডার্মিস বা গ্যাস্ট্রোডার্মিস নামে পরিচিত। উভয় স্তরের মধ্যবর্তীস্থানে থাকে আঠালো জেলির মতো অকোষীয় মেসোগ্লিয়া কিছু ক্ষেত্রে মেসোগ্লিয়ায় অ্যামিবোসাইট ও যোজক টিস্যু (এক্টোমেসোডাম) থাকে

৩. এপিডার্মিসে বা গ্যাস্ট্রোডার্মিসে, বা উভয় স্তরে বিপুল সংখ্যক নিডোসাইট (cnidocyte) নামক কোষ থাকে যা নেমাটোসিস্ট (nematocyst) বহন করে। কর্ষিকায় এগুলো সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। নিডেরিয়ানদের দংশন অঙ্গাণু (stinging organelles) হচ্ছে নেমাটোসিস্ট। প্রাণী এর সাহায্যে আত্মরক্ষা, খাদ্য গ্রহণ, দেহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করে।     


  ৪.দেহাভ্যন্তরে সিলেন্টেরণ (coclenteron) নামে একমাত্র পরিপাক সংবহন গহ্বর (gastro-vuscular cavity) থাকে যা একটি ছিদ্রপথে বাইরে উন্মুক্ত। ছিদ্রটি মুখ ও পায়ুর কাজ করে। 

৫. খাদ্যবস্তু বাইঃকোষীয় ও অন্তঃকোষীয় উভয়ভাবেই পরিপাক হয়।

৬. অনেক প্রজাতি বহুরূপিতা প্রদর্শন করে। বহুরূপী সদস্যদের মৌলিক একক পলিপ (polyp) ও মেডুসা (medusa)। পলিপ স্থবির ও অযৌন জননক্ষম এবং মেডুসা মুক্ত ও যৌন জননে সমর্থ। 

৭. বিশ প্রজাতির নিডেরিয়ান স্বাদু পানির, বাকী সবাই সামুদ্রিক। 


Platyhelminthes (প্লাটিহেলমিনথেস) বা চ্যাপ্টা কৃমি


পর্ব -০৩ : প্লাটিহেলমিনথিস


গ্রিক, platys - চ্যাপ্টা + helminth = কৃমি। ১৮৫৯ সালে Gogenbour এ পর্বের নামকরণ করেন। এ পর্বের শনাক্তকৃত জীবন্ত প্রজাতির সংখ্যা ২৯,৪৮৭টি।।


সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: প্রাণিদের মধ্যে এ পর্বের প্রাণীরাই প্রথম ত্রিস্তরী প্রাণী (triploblastic animal)। এদের দেহে প্রথম টিস্যু-অঙ্গ মাত্রার (tissue-organ grade) গঠন দেখা যায়। এসব প্রাণী পাতার মতো উপর-নিচে চাপা বা ফিতার মতো লম্বা বলে চ্যাপ্টা কৃমি (flat worms) নামে পরিচিত। চ্যাপ্টা কৃমিদের অধিকাংশই মানুষ ও অন্যানা প্রাণিদেহে অন্তঃপরজীবী হিসেবে বাস করে। কিছু কৃমি পানিতে অথবা ভেজা মাটিতে স্বাধীনভাবে অবস্থান করে। অনেক চ্যাপ্টা কৃমি আণুবীক্ষণিক, তবে ৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা চ্যাপ্টা কৃমির কথাও জানা গেছে।




পর্ব Platyhelminthes-এর বৈশিষ্ট্য


১.দেহ নরম, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম ও পৃষ্ঠ-অঙ্কীয়ভাবে চাপা।
২. দেহত্বক সিলিয়াযুক্ত এপিডার্মিস অথবা কিউটিকল-এ আবৃত।
৩. ত্রিস্তরী প্রাণী হলেও এরা অ্যাসিলোমেট (সিলোমবিহীন)। 
৪. একমাত্র পরিপাক নালি ছাড়া অন্তঃস্থ আর কোন গহ্বর নেই।

৫.বিভিন্ন অঙ্গের মাঝে ফাঁকা স্থানগুলো প্যারেনকাইমা (parenchyma) নামক যোজক টিস্যু বা মেসেনকাইম (mesenchyme)-এ পূর্ণ থাকে।
৬. অনেক ক্ষেত্রে বাহ্যিক চোষক (sucker) অথবা হক (hook) অথবা উভয়ই উপস্থিত। ৭. রক্ত সংবহন ও শ্বসনতন্ত্র অনুপস্থিত; রেচনতন্ত্র শিখা কোষ (flame cell)
৭.চ্যাপ্টা ও দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম দেহ নিয়ে গঠিত।
৮. অধিকাংশ পরজীবী। অনেক সদস্য সরাসরি দেহতলের সাহায্যে পুষ্টি গ্রহণ করে। কিছুসংখ্যক মুক্তজীবী।

৯.  এ পর্বের প্রাণীরা উভলিঙ্গ; নিষেক অভ্যন্তরীণ এবং পরিস্ফুটন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধরনের।
 ১০. চ্যাপ্টা কৃমির জীবনচক্রে অনেক ধরনের লার্ভা (larva) দশা থাকে।

Leave a Comment