Nematoda/Nemathelminthes (নেমাটোডা/নেমাঘেলমিনথেস) বা গোল কৃমি



পর্ব- নেমাটোডা


গ্রিক, nematos= সুতা + eidos = আকৃতি + helminth = কৃমি। এ পর্বের শনাক্তকৃত জীবন্ত প্রজাতির সংখ্যা ২৫,০৩৩টি।।


সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: Nematoda পর্বের প্রাণিগুলো সুতা কৃমি (thread worm) বা গোল কৃমি (round worm) নামে পরিচিত। এরা অঙ্গ-তন্ত্র গঠন মাত্রার (organ-system grade) প্রাণী। এ পর্বের শনাক্তকৃত প্রায় ২৫,০০০ প্রজাতির কৃমি আছে যার অধিকাংশই বিভিন্ন জীবদেহে পরজীবী। অপ্রকৃত সিলোমেট প্রাণীর মধ্যে নেমাটোডের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বাস্তুতান্ত্রিক সকল পরিবেশে গোল কৃমি বিস্তৃত ।এ ।পর্বের পরজীবী সদস্যরা মানুষ, গবাদি ব্যাপক ক্ষতি করে। মুক্তজীবী প্রাণীরা ব্যাকটেরিয়া, ঈস্ট, ছত্রাক ও শৈবাল খেয়ে জীবনধারণ করে। পশু ও ফসলের


পর্ব Nematoda-র বৈশিষ্ট্য


১.গোল কুমির দেহ নলাকার, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম ও দুদিক সুঁচালো; আণুবীক্ষণিক থেকে এক মিটার পর্যন্ত লম্বা।

২. প্রাণীরা স্যুডোসিলোমেট (অপ্রকৃত সিলোমযুক্ত) ও অখণ্ডকায়িত (unsegmented)।চওড়া মধ্যভাগ


৩. দেহ নমনীয়; ইলাস্টিন (clastin) নির্মিত অকোষীয় কিউটিকল (cuticle) -এ আবৃত।


৪. পৌষ্টিকনালি সোজা ও শাখাহীন এবং মুখ থেকে পায়ু পর্যন্ত প্রসারিত। এ কারণে এসব প্রাণীর দেহকে 'নলের ভেতর নল' ('tube within a tube') ধরনের গঠনের মতো দেখায়।

৫.মুখছিদ্র সাধারণত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ওষ্ঠে পরিবৃত।

৬.শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।

৭.অধিকাংশ প্রাণী একলিঙ্গ, যৌন দ্বিরূপতা (sexual dimorphism) দেখা যায়।

৮.এরা স্থলচর বা জলচর, মুক্তজীবী বা পরজীবী প্রাণী।

যৌন দ্বিরূপতা: একই প্রজাতির স্ত্রী ও পুরুষ সদস্য বর্ণ, আকার, আকৃতি ও গাঠনিকভাবে পৃথক হলে তাকে যৌন দ্বিরূপতা বলে।।


Phylum-5: Mollusca (মলাঙ্কা) বা কম্বোজ প্রাণী


পর্ব- মলাস্কা


ল্যাটিন, molluscus = নরম। Aristotle এ পর্বের নামকরণ করেন। এ পর্বের শনাক্তকৃত জীবন্ত প্রজাতির সংখ্যা ৮৪,৯৭৭টি।।


সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: Mollusca প্রাণিজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্ব। প্রাণীর বর্তমান সংখ্যাগত দিক থেকে Arthropoda পর্বের পরেই এদের অবস্থান। এ পর্বের সদস্যরা অনন্য ধরনের খোলকবাহী ননকর্ডেট প্রাণী। ঝিনুক, শামুক, অক্টোপাস, সেপিয়া, ললিগো এ পর্বের পরিচিত সদস্য। অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে স্বচ্ছল ব্যক্তিরা খোলক সংগ্রহ করতেন। এক সময় বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলের পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের জন্য খোলক সংগ্রহের প্রচলন ছিল।

পর্ব Mollusca-র বৈশিষ্ট্য


১.দেহ নরম, মাংসল ও অখণ্ডকায়িত।

২. সিলোমেট, অধিকাংশ দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম (গ্যাস্ট্রোপোডা ব্যতীত) এবং সুস্পষ্ট মাথাবিশিষ্ট।

৩. ম্যান্টল (mantle) নামক পাতলা আবরণে দেহ আবৃত। ম্যান্টল থেকে ক্ষরিত পদার্থে খোলক (shell) গঠিত হয়। সাধারণত খোলকের মধ্যে প্রাণী অবস্থান করে।

৪. দেহগহ্বর খুব সংক্ষিপ্ত ও হিমোসিল (haemocoel)- 4 পরিণত হয়েছে।

৫. দেহের অঙ্কীয়দেশে মোটা চামড়া প্রশস্ত মাংসল পিন্ডের মতো পদ (foot)- এ রূপান্তরিত হয়েছে।

৬. পৌষ্টিক নালি প্যাঁচানো; কখনও কখনও । আকৃতির। মুখবিবরে কাইটিন (chitin) নির্মিত একটি রেতি-জিহবা বা র‍্যান্ডলা (radula) থাকে (Bivalvia ব্যতীত)।

৮. ফুলকা (টেনিডিয়া) অথবা ফুসফুস অথবা উভয় অংশ, অথবা ম্যান্টল দিয়ে শ্বসন সম্পন্ন হয়।

৬. রক্তে হিমোসায়ানিন (haemocyanin) ও অ্যামিবোসাইট (amoebocyte) কণিকা থাকে।

৯. পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত হৃৎযন্ত্র, রক্তনালি ও হিমোসিল উভয়ই উপস্থিত অর্থাৎ অর্ধমুক্ত সংবহনতন্ত্র দেখা যায়।

৬০. অধিকাংশ প্রাণীই সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে ও কিছু সদস্য স্বাদু পানিতে, স্থলে ও গর্তের ভেতরে বাস করে। ১১. মলাঙ্কাজাতীয় প্রাণী ভিন্ন লিঙ্গবিশিষ্ট এবং ডিম পাড়ে।

Leave a Comment