ডায়রিয়া




 কখন ও কেন হয়?

এটি একটি পানিবাহিত রোগ। সাধারণত গ্রীষ্মকালে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। গরমের সময় আমরা প্রচুর পানি বা পানিজাতীয় খাবার গ্রহণ করি। সেক্ষেত্রে পানি যদি অনিরাপদ হয় তখন আমরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারি। পানিতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া মিশে গিয়ে পানিকে অনিরাপদ করে তোলে।

লক্ষণ

ডায়রিয়ার অন্যতম লক্ষণ হলো পাতলা পায়খানা। এর সাথে কখনও কখনও বমিও হতে পারে। এছাড়া এর সাথে পেটে ব্যথা এবং জ্বরও থাকতে পারে। ডায়রিয়া নিয়ে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এটি জীবনহানি ঘটাতে পারে।


রোগ হলে কী করব (প্রতিকার)

ডায়রিয়া হলে অবশ্যই খাবার স্যালাইন খেতে হবে। সাধারণত এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন আধা লিটার বা দুই গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার পায়খানার পর একগ্লাস করে খেতে হবে। তবে প্যাকেট স্যালাইন যদি না পাওয়া যায় তাহলে তিন আঙুলের এক চিমটি লবণ, এক মুঠো গুড় বা চিনি দুই গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যেতে পারে। তিন দিনের মধ্যে ডায়রিয়া ভালো না হলে বা কেউ যদি বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।


রোগ যেন না হয় সেজন্য কী সতর্কতা নেব (প্রতিরোধ)

ডায়রিয়া প্রতিরোধে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই। খাওয়ার আগে, বাথরুম ব্যবহারের পরে, বাইরে থেকে বাসায় ফিরে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাইরের খোলা, বাসি খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার গ্রহণ ও নিরাপদ পানি পান করার মাধ্যমে আমরা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারি।

Leave a Comment