রাইগর মর্টিস ( Rigor mortis) 



মৃত্যু পরবর্তী পেশীসমূহের দৃঢ় ও অনমনীয় হবার ঘটনাকে রাইগর মর্টিস্ বলে। বিচ্ছিন্ন পেশীর মধ্যেও রাইগর মর্টিস দেখা যায়। এই সময়ে পেশীর মধ্যে নিম্নরূপ পরিবর্তন দেখা যায়: 


১। উত্তেজিতা (excitability) রহিত হয়,
২। দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়,
৩। পুরুত্ব বৃদ্ধি পায়,
৪। অধিক সান্দ্র (viscous) হয় এবং স্বচ্ছতা হারিয়ে ফেলে,
৫। অম্লতা (pH 5.8) লাভ করে,
৬। শক্ত হয়ে যায়,
৭। গ্লাইকোজেন অদৃশ্য হয় ও
৮। পেশী থেকে কার্বোনিক এসিড মুক্ত হয়।


সকল পেশীতে রাইগর মর্টিস-এর সূচনা একই সময়ে ঘটে না। মৃত্যুর পর গড়ে 2 ঘন্টার মধ্যেই রাইগর মর্টিস শুরু হয়ে যায় এবং ও ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন হয়। দেহের বিভিন্ন অংশের পেশীর মধ্যে পর্যায়ক্রমে নিম্নচোয়াল, মুখমণ্ডল, গ্রীবা, বক্ষদেশ, উদর, হাত এবং সর্বশেষে পায়ের পেশীতে রাইগর মর্টিস, সংঘটিত হয়। মৃত্যুর 24 থেকে 36 ঘণ্টা পর অটোলাইসিস (autolysis) ঘটায় রাইগর মর্টিস-এর অবসান ঘটে। দেহের বিভিন্ন অংশে পূর্বোক্ত একই ক্রমে রাইগর মর্টিস অদৃশ্য হয়।

Leave a Comment