ইমিউনতন্ত্র কোষ (Immune System Cells):


Immune System Cell


লিম্ফোসাইটসমূহ বা লিফয়েড কোড (Lymphocytes or Lymphoid Cells): লিম্ফোসাইটগুলো অ্যান্টিজেন প্রদর্শনকগঞ্জ সিকোসাইটানও বানিয়েম সনাক্ত করে। এরা অভিযোজনিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা আবার সংকেত প্রদান করে। সঙ্গে লিম্ফোসাইট অস্থিমজ্জার স্টেম কোষ থেকে উদ্ভূত এবং থাইমাস ও অস্থিমজ্জায় বর্ধিত হয়। দেহে প্রবহমান রক্তের শ্বেতকনিকার ২০ থেকে ৪০% এবং নিস্ফরসের প্রায় ৯৯% লিম্ফোসাইট।


কাজের ধরন ও এদের কোষপ্রাচীরের রাসায়নিক গঠন অণুযায়ী লিম্ফোসাইট তিন ধরনের। যথা- T-কোষ, B-কোষ এবং বৃহৎ দানাদার লিম্ফোসাইট বা নাল কোষ (Null cells)


(i) T-কোষ (T-Cell/Lymphocyte or or Thymus originated Lymphocyte): যে সকল কোষ থাইমাসে বর্ধিত হয় তাদের T-কোষ বলে। Ⅰ-কোষে বহু প্রকরণ রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত। একটি অলে মনোনিউক্লিয়ার ফ্যাগোসাইটের সাথে সংযোগ রক্ষা করে এবং অন্তর্নিহিত অ্যান্টিজেন ধ্বংসে ফ্যাগোসাইট কোষরে সহায়তা করে। এদেরকে প্রথম ধরনের সাহায্যকারী T-কোষ (Helper-1 T-Cell) বলা হয়। অন্যদিকে আরেক অংশ ৪. কোষের সাথে সংযোগ রক্ষা করে বিভাজিত হয় এবং অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করে তাদের দ্বিতীয় সাহায্যকারী 1- কোষ (Helper-II T-Cell) বলা হয়। এদের যথাক্রমে TH1 ও TH2 দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। আবার তৃতীয় এক ধরনের। কোষ বাহকের অণুজীব সংক্রমিত কোষকে ধ্বংস করে এ প্রতিক্রিয়াকে কাষ বিধ্বংসক্রিয়া (Cytotoxicity) বলা হয়। এসব T-কোষকে সাইটোটক্সিক T-কোষ বা T দ্বারা প্রকাশ করা হয়।


(ii) B-কোষ (B-cell/Lymphocyte or Bursu of fabricus Lymphocyte): অস্থিমজ্জায় বর্ধমান কোষদের B- কোষ বলা হয়। প্রতিটি B-লিম্ফোসাইটের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের জন্য একটি নির্দিষ্ট রিসেপ্টর (Receptor) উপর ক্ষমতা জীনগতভাবে দেয়া থাকে। B-কোষ অ্যান্টিজেন সনাক্ত করে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায় এবং বিভাজিত হয়ে প্লাজমা কোষে পরিণত হয়। এসব প্লাজমা কোষ প্রচুর পরিমাণে রিসেপ্টর সংশ্লেষণ ও নিঃসরণ করে। এসব নি:সৃত রিসেপ্টরগুলোই হলো অ্যান্টিবডি। B-কোষ সাধারণত গ্লাইকোপ্রোটিন, রক্ত টিস্যু প্রভৃতিতে পাওয়া যায়।


(iii) বৃহৎ দানাদার লিম্ফোসাইট (Large Granule Lymphocyte): এ কোষগুচ্ছের ইমিউন ঘাটত নির্দিষ্টতা নেই এমনকি অ্যান্টিজেন বন্ধনের গ্রাহক অণুর ক্রিয়াও সুগঠিত নয়। এজন্যই এদের ইমিউনতন্ত্রের নাস্তিকোষ (Null cell) বলা হয়। (এরা টিউমার কোষ এবং ভাইরাস আক্রান্ত কোষের বাহিরের আবরণীর যে পরিবর্তন ঘটে তা সনাক্ত করতে পারে। সংক্রামক কোষকে ধ্বংস করে এবং যে সকল MHC (Major histocompatibility complex) অংশ বিলুপ্ত হয়েছে তাদের সনাক্ত করতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে Natural Killer cell (NKC) প্রক্রিয়াও বলা। হয়।


(খ) মনোনিউক্লিয়ার ফ্যাগোসাইট (Mononuclear Phagocyte): ফ্যাগোসাইটিক কোষসমূহ দীর্ঘজীবী। এরা অস্থিমজ্জার স্টেম কোষ থেকে তৈরী হয়। ফ্যাগোসাইটিক কোষ সংক্রামক অণুজীব ও অ্যান্টিজেন আত্মীকরণ অর্থাৎ এধ্বংস করো। পালো কৌশলগত কারণেই এরা শরীরের এমন সব স্থানে অবস্থান করি যেন অ্যান্টিজেন আত্মী জীবের কাছে আসরে পারে। যেমন- যকৃতের কোষসমূহে সাইনুসয়েড এর সাথে সারিবদ্ধ থাকে যার পার্শ্ব দিয়েই রক্ত প্রবাহিত হয়। এদেরকে অাসাইন (doocyte) কোষ বলা হয়। এরা এসব মনোসাইটগুলোই 1'-কোষের কাছে অ্যান্টিজেন প্রদর্শন করে।

(গ) পলিমরফোনিউক্লিয়ার নিউট্রোফিল (Polymorpho nuclear Neutrophils): এনেরে শুধুমাত্র নিউট্রোফিল (neutrophil) নামেও আখ্যায়িত করা হয়। বর্ণনার সুবিধার্থে PMN যায়া প্রকাশ করা হয়। এরাও মনোসাইটের মতো ম্যাক্রোফাজে পতিত হয়। মনোসাইটের ন্যায় রক্তের মাধ্যমে প্রদাহ স্থানে গমন করে। তবে এরা স্বল্পস্থায়ী। এয়া অ্যান্টিজেন আত্মীকরণ অর্থাৎ ধ্বংস করতে পারে।


(ঘ) ইয়োসিনোফিল পলিমারক (Eosinophils Polymer): এরা ইয়োসিনোফিল (Eosinophil) নামেও পরিচিত। নিউকোসাইটদের একটি বিশেষ শাখা যাদের পরজীবী (যেমন- Schistosomes) আক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে। এ সকল। কোষ তাদের নির্দিষ্ট কিছু সংক্রামক কোষকে ধ্বংস করে। কখনো অভ্যন্তরীণ বিশেষ যৌগ নিঃসরণ করে কোষ ফধ্বংস করে অথবা কখনো কখনো এমন কিছু পদার্থ নিঃসরণ করে যারা কোষগুলোর সাথে মিলে গিয়ে কোষগুলোকে ধ্বংস করে।


(ঙ) অন্যান্য সাহায্যকারী কোষসমূহ (Auxillary cell): আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় আরো অন্যান্য কোষ রয়েছে যারা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব কোষ প্রদাহের স্থানে গিয়ে সংক্রমিত অংশে নিউকোসাইটকে আকর্ষিত করে। নিচে কিছু সাহায্যকারী কোষের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো :লিউকোসাইট


(i) বেসোফিল ও মাস্টকোষ (Basophiles and Mast cells): এসব কোষগুলোর অসংখ্য সংকেত যৌগ (Signalling molecule) বা অণু থাকে। এই অণুগুলো চারপাশের কলায় প্রদাহ তৈরি করে। মাস্টকোষ ত্বর যোজক কলা, বিভিন্ন অঙ্গের আবরণী, মিউকাস আবরণী, রেচন জনননালী আবরণী শ্বসনতন্ত্রের মিউ আবরণী, পৌষ্টিকনালী প্রভৃতি নানা ধরনের কলায় বিদ্যমান থাকে। বেসোফিল ও মাস্টকোষ উভয়ই অ্যা প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে।


(ii) প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা (Thrombocytes or Blood Platelets): এ কোষ প্রদাহ নিয়ন্ত্রণকারী যৌ (Inflammatory mediator) ক্ষরণ করে। রক্ততঞ্জনে এদের বিশেষ ভূমিকা ছাড়াও প্রদাহের স্থানে এরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। রক্তে বিদ্যমান বর্ণহীন, ক্ষুদ্র, নিউক্লিয়াস বিহীন গোলাকার বা ডিম্বাকার বা দণ্ডাকার রক্তকণিকাকে থোম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা বলে। এরা অস্থিমজ্জার মেগাক্যারিওসাইট থেকে উৎপন্ন হয়। এদের প্রধান রাসায়নিক উপাদান হলো প্রোটিন ও ফমফোলিপিড।

Leave a Comment