RNA এর প্রকারভেদ 


TYPES OF RNA



DNA ছাড়াও অধিকাংশ আদিকোষ ও প্রকৃত কোষে আরও একটি নিউক্লিক এসিড রয়েছে যা রাইবোনিউক্লিক এসিড বা  RNA নামে পরিচিত।RNA অণু সৃষ্টির পর তার চরিত্রানুসারে বিভিন্ন রকম জৈব ক্রিয়া কর্ম সম্পন্ন করে থাকে। গঠন, ধর্ম ও কাজের উপর ভিত্তি করে কে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:


ক) জেনেটিক্যাল বা বংশগতীয় RNA: 

(খ) ননজেনেটিক্যাল বা অবংশগতীয় RNA অথবা মুখ্য RNA ও

 (গ) গৌন RNA।


১) বংশগতীয় RNA (Genetical RNA): যেসব কোষে নিউক্লিক এসিড হিসেবে শুধুমাত্র RNA থাকে এবং DNA বংশগত কৌশলে সহায়তা করে, সে ধরনের RNA-কে বংশগতীয় RNA বা Genetical RNA বলে। এই ধরনের RNA ভাইরাস দেহে বংশগতিয় বস্তু হিসেবে থাকে বলে একে Viral RNA বা RNA নামে আখ্যায়িত করা হয়। যেমন- TMV.

কাজ: এক্ষেত্রে RNA জেনেটিক বন্ড হিসেবে কাজ করে।


(খ) অবংশগতীয় RNA বা মুখ্য RNA (Non-genetical RNA বা Major RNA): যেসব কোষে বা জীবে DNA-এর সাথে  RNA থাকে এবং RNA বেস বংশগতীয় ভূমিকা পালন করে না, প্রধান কাজ হিসেবে প্রোটিন সংশ্লেষণ করে সেই সকল RNA- কে অবংশগতীয় বা Non-genetical RNA অথবা মুখ্য RNA বা Major RNA বলে। অবংশগতীয় RNA-কে আণবিক ওজন, তলানিপড়ন সহগ (Sedimentation coefficient) ও কাজের উপর ভিত্তি করে প্রধান তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:


১. বার্তাবাহক RNA বা Messenger RNA বা mRNA;
২. রাইবোজোমাল RNA বা Ribosomal RNA বা rRNA ও
৩. পরিবাহক RNA বা Transfer RNA বা tRNA


১. বার্তাবাহক RNA বা Messenger RNA বা mRNA: যেসব RNA নিউক্লিয়াসের ভেতরে DNA সিকুয়েন্স অনুযায়ী সৃষ্টি হায় জীবের অধিকাংশ জিনের সংকেত বহন করে যাদের বার্তাবাহক RNA বা Messenger RNA বা mRNA বলে। কোষের প্রায় ৩-৫% RNA হলো mRNA। বিজ্ঞানী Jacob ও Monad (১৯৬১) এদের নামকরণ করেছেন। এগুলো এক শিকল বিশিষ্ট mRNA DNA-এর একটি শিকলের পরিপূরক হিসেবে সৃষ্টি হয় বলে এদের বেস (ক্ষারক) অনুক্রম DNA-এর মতোই। একটি mRNA হ্যাকশ থেকে কয়েক হাজার নিউক্লিওটাইডসহ নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমে অবস্থান করে। আকারের উপর ভিত্তি করে mRNA হবেসিসট্রানিক এবং পলিসিসট্রনিক এ দুই ধরনের হয়ে থাকে।

কাজ: রাইবোজোম নামক কোষ অঙ্গানু সৃষ্টিতে অবদান রাখে। যার মাধ্যমে কোষ প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়।

কাজ: নির্দিষ্ট প্রোটিন সংশ্লেষণের বার্তা নিউক্লিয়াস থেকে সাইটোপ্লাজমে বহন করে এবং রাইবোজোম ও RNA-র সাহায্যে নারী আঅ্যামাইনো এসিড অনুক্রমের শৃঙ্খল তৈরি করে।

( 2 ) রাইবোজোমাল RNA :যেসব RNA রাইবোজোমের প্রধান গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে তাকে রাইবোজোমাল RNA বা rRNA বলে। কোষের প্রায় ৮০-৯০% RNA-ই হলো rRNA। এগুলো পলিনিউক্লিওটাইডের আনিন ও সাইটোসিন জোড় বাঁধে। Stevens (১৯৬০) প্রথম RNA-র কথা উল্লেখ করেন। ইউক্যারিওটিক কোষে চার ধরনের করাইবোজোমাল RNA বা Ribosomal RNA বা FRNA: যেসব RNA রাইবোজোমের প্রধান গাঠনিক উপাদান হিসেবে পাথ ও কিন্তু আয়নিক মাইউরাসিল AINA পাওয়া যায়। এরা হলো ২৮১, ১৮১, ৫.৮১ এবং ৫S-TRNA। (এখানে S=Svedberg একক) মানে বেসগুলা কে দিয়ে গঠিত। নিম্ন আয়নিক মাত্রায় এরা রুথলি গঠন করে। এক্ষেত্রে অ্যাডেলিন ওই মার ঘরে

৩. পরিবাহক RNA বা Transfer RNA বা (RNA: যেসব RNA কোষের নিউক্লিয়াস বা সাইটোপ্লাজম থেকে mRNA- ধরে প্রোটিন সংশ্লেষণ স্থানে রাইবোজোমে নিয়ে যায় তাদের Transfer RNA বা IRNA বলে। এটি একটি ক্ষুদ্র প্রকৃতির RNA কোষের প্রায় ১০-২০% RNA-ই (RNA। এতে প্রায় ৭৫-৯০টি নিউক্লিওটাইড থাকে। R. Holley (১৯৬৫) এবং তাঁর সহকর্মী। IRNA-এর গঠনের ক্লোভার লিফ (Clover-leaf) মডেল প্রণয়ন করেন। এই মডেল অনুযায়ী (RNA- তে পাঁচটি বাহু থাকে। বাহুগুলে হলো : ১. অ্যামাইনো এসিড বাহু, ২. I-বাহু, ৩. অ্যান্টিকোডন বাহু, ৪. D-বাহু এবং ৫. অতিরিক্ত বাহু (এটি সবক্ষেত্রে থাকে না।)

কাজ: প্রোটিন সংশ্লেষণের সময় জেনেটিক কোড অনুযায়ী অ্যামাইনো এসিডকে mRNA অণুতে স্থানান্তর করা।


(গ) গৌণ RNA বা Minor RNA: কিছু ক্ষুদ্র RNA রয়েছে যারা কোষে বিভিন্ন প্রোটিনের সাথে মিশে এনজাইমের কাঠামে দান করে। আকৃতির উপর ভিত্তি করে এদের ক্ষুদ্র সাইটোপ্লাজমীয় RNA (Small Cytoplasmic RNA, ScRNA) এবং ক্ষুদ্র কেন্দ্রী RNA (Small Nuclear RNA, snRNA) এই দুই ধরনের হয়ে থাকে।


কাজ: বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের (রাইবোজাইম) কাঠামো দান করা এবং এনজাইম হিসেবে কাজ করা

Leave a Comment