হার্ডি-ওয়াইনবার্গ সূত্র (জিন ফ্রিকুয়েন্সি)-এর উপর প্রভাব বিস্তারকারী ফ্যাক্টরসমূহ


Hardy-Weinberg


 হার্ডি-ওয়াইনবার্গ সূত্রের (জিন ফ্রিকুয়েন্সি) উপর প্রভাব বিস্তারকারী ফ্যাক্টরসমূহ: একটি নির্দিষ্ট জিনপুল সমন্বিত হয়ে জনগোষ্ঠী, নিজেদের মধ্যে যৌন মিলনে সক্ষমতা প্রদর্শন করে তাকে মেন্ডেলিয়ান পপুলেশন বলে। হার্ডি-ওয়াইনবার্গের সর অনুসারে কোনো আবার ভোট প্রজননক্ষম বৃহৎ পপুলেশন যদি বাঁধাগ্রস্থ। না হয়, তাহলে ঐ পপুলেশনের জিন ফ্রিকুয়েন্সি এবং আ জিনোটাইপ ফ্রিকুয়েন্সি প্রজন্ম পরম্পরায় অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু এই অবস্থা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জিনের পরিবর্তন বা মিউটেশন ব্যতীত বিবর্তন সম্ভব হয় না। Fisher এবং Wright সহ আরো কিছু বিজ্ঞানী হার্ডি-ওয়াইনবার্গ সূত্র তথা জিন ফ্রিকুয়েন্সির উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী কয়েকটি ফ্যাক্টর আবিষ্কার করেন এবং এদের ব্যাখ্যা দেন। ফ্যাক্টরগুলো হলো:

(a) প্রাকৃতিক নির্বাচন: ডারউইনের মতবাদ অনুসারে প্রকৃতিতে কোনো প্রজাতির সব বংশধর পরিবেশে সমানভাবে অভিযোজিত হয় না। এ জন্য মেন্ডেলিয়ান পপুলেশনে অ্যালিল বা জিন ফ্রিকুয়েন্সি সবসময় পরিবর্তনমুখী। এবং পরিবর্তিত হয়। থাকে

(b) মিউটেশন: বিবর্তনের প্রধান কারণ জিনতাত্ত্বিক প্রকরণ, যা মিউটেশনের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। জিন ফ্রিকুয়েন্সির পরিবর্তন না হলে বিবর্তন হবে না। মিউটেশন চাপ অব্যাহত থাকায় পপুলেশনে জিন ফ্রিকুয়েন্সি পরিবর্তিত হয়।


(c ) জেনেটিক ড্রিফট: মেন্ডেলিয়ান পপুলেশনে অ্যালিল বা জিন ফ্রিকুয়েন্সির আকস্মিক হ্রাস-বৃদ্ধিকে জেনোটক ড্রিফট বলে। এই হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে জিন-ফ্রিকুয়েন্সি সবসময় এক থাকে না।


(d) মিয়োটিক ড্রাইভ: মিয়োটিক কোষ বিভাজনকালে যদি কোষবিভাজনে অনিয়ম বা মিয়োটিক ড্রাইভ ঘটে, তাহলে জিন ফ্রিকুয়েন্সির পরিবর্তন হতে পারে। (


e) অভিবাসন বা অভিপ্রয়ান :কোন এলাকার জনগোষ্ঠী কখনো ধ্রুবক থাকে না। নিরন্তর অভিবাসন বা অভিপ্রয়ানের কারণে আন্তঃপ্রজনন সংঘটিত হওয়ায় জিন ফ্রিকুয়েন্সির পরিবর্তন হয়।

Leave a Comment