Watson ও Crick প্রদত্ত ডাবল হেলিক্স মডেল অনুযায়ী DNA অণুর ভৌত গঠন


DNA



Watson ও Crick (J.D. Watson 1928 & Francis H.C. Crick, 1916-2004) ১৯৫৩ সনে DNA অণুর (তার, সিট, স্ক্রু, বল্টু ইত্যাদি দিয়ে তৈরি প্যাঁচানো সিঁড়ির ন্যায়) একটি ভৌত মডেল উপস্থাপন করেন যা পরবর্তীতে সঠিক মডেল হিসেবে সর্বত্র স্বীকৃত হয়েছে। এই মডেল উদ্ভাবনের কারণে উইলকিন্সসহ তাঁদেরকে ১৯৬৩ সুনে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

Watson ও Crick প্রদত্ত ডাবল হেলিক্স মডেল অনুযায়ী DNA অণুর ভৌত গঠন নিম্নরূপ:

(১) DNA অণু দ্বিসূত্রক, বিন্যাস ডান থেকে বাম দিকে ঘুরানো (প্যাঁচানো) সিঁড়ির মতো, যাকে বলা হয় ডাবল হেলিক্স (double helix)।

২) সূত্র দুটি সমদূরত্বে পরস্পর বিপরীতমুখী (একটি 5' 3' কার্বনমুখী এবং অপরটি 3' 5' কার্বনমুখী) হয়ে অবস্থান করে।


DNA


৩) সূত্র দুটি তৈরি হয় ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যগার (S) ও ফসফেটের (P) পর্যায়ক্রমিক সংযুক্তির মাধ্যমে।


৪) সূত্র দুটির মাঝখানের প্রতিটি ধাপ তৈরি হয় একজোড়া নাইট্রোজেন বেস (A = T বা G=C) দিয়ে।


(৫) ফসফেট যুক্ত থাকে ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যগারের 3' ও 5' কার্বনের (৩য় ও ৫ম কার্বনের) সাথে এবং ক্ষারকগুলো যুক্ত থাকে ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যগারের ।' কার্বনের (১ম কার্বনের) সাথে। কাজেই সূত্রকের বাইরের দিকে ফসফেট এবং ভেতরের দিকে নাইট্রোজেন ক্ষারক থাকে।


১৬ DNA অণুতে চার ধরনের নাইট্রোজেন ক্ষারক (অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, থাইমিন এবং সাইটোসিন) থাকে। অ্যাডিনিন (A) এর সম্পূরক ক্ষারক থাইমিন (T) এবং গুয়ানিন (G) এর সম্পূরক ক্ষারক সাইটোসিন (C)।


(৭) একটি সূত্রের অ্যাডিনিন অপর সূত্রের থাইমিনের সাথে দুটি হাইড্রোজেন বন্ধনী দিয়ে (A = T/T = A) এবং একটি সূত্রের গুয়ানিন অপর সূত্রের সাইটোসিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ধনী (G = C/C = G) দিয়ে যুক্ত হয়। কাজেই সিঁড়ির ধাপ হবে A = T অথবা G = C।


(৮) DNA অণুর সূত্র দুটির প্রতিটি প্যাঁচ বা ঘূর্ণনের দৈর্ঘ্য 34 Å (3.4 nm)। প্রতিটি প্যাঁচে নাইট্রোজিনাস বেস জোড়ের ১০টি ধাপ সমদূরত্বে অবস্থান করে। ফলে সিঁড়ির এক ধাপ থেকে অপর ধাপের দূরত্ব হয় 3.4 A (0.34 nm)।

(৯) প্রতিটি প্যাঁচে হেলিক্স দুটির ব্যাস 20 Å (2 nm)। তবে অণুর দৈর্ঘ্য প্রজাতিভেদে বিভিন্ন।


(১০) হেলিক্সের প্রতিটি সম্পূর্ণ প্যাঁচ বা ঘূর্ণনে শৃঙ্খলের বাইরের দিকে একটি গভীর খাঁজ (major groove) একটি অগভীর খাঁজ বা ভাঁজের (minor groove) সৃষ্টি হয়।

(১১) DNA-এর আণবিক ওজন 106-10° এর মধ্যে।


মোট কথা দু'টি ডিঅক্সিরাইবো পলিনিউক্লিয়োটাইডের সূত্র বিপরীতমুখীভাবে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একটি দ্বিসূত্র । অণুটি প্যাঁচানো সিঁড়ির মতো বিন্যস্ত থাকে।

Leave a Comment