রামসার কনভেনশন ১৯৭১ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

 রামসার কনভেনশন: পৃথিবীতে বন্যপ্রাণী শুধু স্থলভাগেই বিচরণ করে না, বিভিন্ন জলাশয়ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে স্থলবাসী বন্যপ্রাণী প্রাধান্য পেলেও ১৯৭১ সালের পূর্বে বিশ্বের জলাভূমি এবং জলচর পাখিদের সংরক্ষণ বিষয়ে কোনো কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি।


বিশ্বব্যাপী জলাভূমি এবং জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মহান ব্রত নিয়ে ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইরানের রামসার শহরে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে একটি চুক্তি বা কনভেনশন অনুমোদিত হয়। যার নাম রামসার কনভেনশন। প্রকৃতপক্ষে কনভেনশনটির নাম "Conservation of Wetlands" যার অর্থ জলাভূমি সংরক্ষণ। রামসার কনভেনশনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫৮টি দেশ সম্মতিপত্র স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে কনভেনশন অনুযায়ী জলাভূমি সংরক্ষণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়।


রামসার কনভেনশনে ১২টি ধারা রয়েছে। এসব ধারায় জলাভূমি সংরক্ষণ, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলজ জীবের সংখ্যা বৃদ্ধির উপায়, জলাভূমির উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। এই কনভেনশন অনুসারে জলাভূমির সংজ্ঞায় স্বাদুপানি, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক পরিবেশকে অন্তর্ভুক্ত করে। তবে সাগর জলাভূমি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেও ভাটার সময় সেখানকার গভীরতা ৬ মিটারের বেশি হতে পারবে না।


বাংলাদেশে অসংখ্য জলাভূমি এবং জলজ জীববৈচিত্র্য থাকলেও শুধু সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওরটিকে রামসার এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

Leave a Comment