ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর নাম, লক্ষণ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে নিচে লিখা হলো:

 


ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর নাম: এটি একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এই রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গায়ের তাপমাত্রা বেড়ে জ্বর আসা,মাথাব্যথা ও মাংস পেশির ব্যাথা এবং চামড়ায় অতি সূক্ষ্ম ফুসকুঁড়ি ফুটে ওঠা। এ রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুটি একটি RNA ভাইরাস।

 


এর গঠন আইকোসাহেডাল (Icosahedral) প্রকৃতির। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এডিস মশা (Aedes aegypti) ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস বহন করে এবং সংক্রমণ ঘটায়। এই মশা পরিষ্কার পানিতে ডিম পারে তাই ডোবা, নর্দমা ও নোংড়া আবর্জনা মিশ্রিত পানিতে এদের বংশবৃদ্ধি ঘটে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে এরা বসবাস করে। এডিস মশা খুব অভিজাত।

 


ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ:
(i) রোগীর গায়ে প্রচণ্ড জ্বর হয়।
(ii) হাতে পায়ের মাংসপেশিতে ভীষণ ব্যথা হয়।
(iii) চোখ লাল হয়ে যায়।
(iv) নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় এবং রোগী অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
(v) এছাড়া রোগী মেরুদণ্ডে হাড় ভাঙা ব্যথ্যা অনুভব করে। আর সে কারণে এই রোগকে হাড় ভাঙা জ্বর (breakbone fever) বলে।

 


ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ:
(i) রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়।
(ii) রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে মশারি ব্যবহার করতে হবে যাতে মশা দংশন করতে না পারে।
(iii) বাড়িঘর ও অফিস আদালতের আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
(iv) ফুলের টব ও অন্যান্য পাত্রে সাথে পানি জমা হয়ে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(৪) ফুলের বাগান এবং বাড়ির আঙ্গিনা জঞ্জাল মুক্ত রাখতে হবে।
(vi) মাঝে মাঝে মশা নিধনকারী ঔষধ স্প্রে করতে হবে।

Leave a Comment