গ্যালভানিক কোষ তৈরি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন।


গ্যালভানিক কোষ


মূলনীতি: যে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে গ্যালভানিক কোষ বলে। একটি জিংক (Zn) দণ্ডকে জিংক সালফেট (ZnSO 4 ) দ্রবণে আংশিক ডুবিয়ে এবং কপার সালফেট (CuSO 4 ) দ্রবণে কপার (Cu) দণ্ডকে আংশিক ডুবিয়ে দণ্ড দুটিকে একটি তামার তার দিয়ে সংযোগ ঘটালে গ্যালভানিক কোষ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে জিংক দণ্ড থেকে জিংক পরমাণু দুইটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে জিংক আয়ন ( Z n^ 2* ) হিসেবে দ্রবণে চলে যায়। ইলেকট্রন দুটি কপার তারের ভিতর দিয়ে কপার দণ্ডে পৌঁছে। কপার সালফেট দ্রবণের কপার আয়ন ( C u^ 2* ) ইলেকট্রন দুইটি গ্রহণ করে ধাতব কপারে পরিণত হয়। কপার তারের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের ফলে বিদ্যুৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে জিংক দণ্ড অ্যানোড আর কপার দণ্ড ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে।





প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্য: দুইটি বিকার, জিংক সালফেট (ZnSO₂) দ্রবন, কপার সালফেট (CuSO₁) দ্রবণ, জিংক দণ্ড, কপার দন্ড, একটি LED, পানিতে ভেজানো এক টুকরো লম্বা কাগজ অথবা লবণ সেতু, কপার তার ইত্যাদি।

কার্যপ্রণালি: বিকারে জিংক সালফেট দ্রবণ নিয়ে তাতে জিংক দন্ড এবং অপর একটি বিকারে কপার সালফেট দ্রবণ নিয়ে তাতে কপার দন্ড আংশিক প্রবেশ করাও। বিকার দুটির দ্রবণে চিত্রের মতো করে একটি লবণ সেতু স্থাপন কর। এবারে জিংক ও কপার দন্ড দুটিকে তামার তার যুক্ত কর। এবার LED এর পজিটিভ প্রান্ত কপার প্রান্তের তামার তারের সাথে এবং নেগেটিভ প্রান্ত জিংক দণ্ডের তামার তারের সাথে যুক্ত করলে LEDটি জ্বলে উঠবে। এই সময় জিংক দন্ড ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে জিংক আয়ন দ্রবণে চলে যেতে থাকে এবং দ্রবণ থেকে কপার আয়ন কপার দণ্ডে গিয়ে জমা হতে থাকে।

এক্ষেত্রে উপরে দেখানো কোষ বিক্রিয়াটি সংঘটিত হয়। ফলে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

সতর্কতা

1. দুইটি দ্রবণের উচ্চতা সমান রাখতে হবে।

2. লবণ সেতু বা এক টুকরো ভেজা কাগজ দিয়ে উভয় দ্রবণের মধ্যে সংযোগ ভালোমতো করতে হবে।

Leave a Comment